ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হচ্ছে মুকসুদপুর

 প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৩, ০৩:০৮ অপরাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হচ্ছে মুকসুদপুর

মেহের মামুন (মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ) :


মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত আরো ৪০ টি ঘর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। ‘আশ্রয়ণের অধিকার- শেখ হাসিনার উপহার’ স্লোগানে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ৪র্থ পর্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছে এসব সেমিপাকা ঘর। সোমবার (২০ মার্চ ) বিকালে উপজেলা প্রশাসন এক প্রেস ব্রিফিংএ এ তথ্য জানান।

এর আগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ৫শ ৫৩ টি পরিবারসহ উপজেলার মোট ৬শ ৩৩ টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পেয়েছে। ফলে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলার তালিকায় যোগ হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের উপজেলা।

আগামী বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের যে কয়েকটি উপজেলার সঙ্গে মুকসুদপুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই দুই শতাংশ জমির দলিলসহ এই ঘরগুলো উপকারভোগীদের মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তাহন্তর করবে মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসন।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এসএম ইমাম রাজী টুলু মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের হল রুমে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিং এ জানান, ইতোমধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খনুভাবে যাচাই-বাচাই করে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করে তাদের নামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি সেমিপাকা ঘর ও দুই শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়েছে।

জমিসহ আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত সরকারি বাসগৃহ পেয়ে হাসি ফুটেছে অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে। বন্দোবস্তকৃত খাঁস জমির কবুলিয়তসহ সরকারি খরচে নির্মিত সেমিপাকা বাসগৃহ পেয়ে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছে সুবিধাভোগী ৬৩৩ পরিবার। ঘর প্রাপ্তরা প্রধানমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরও বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে পরিদর্শন করে জায়গা বরাদ্দ থেকে শুরু করে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে ভূমিহীন পরিবার ঘরে উঠে বসবাস করছে। এখানে রয়েছে খেলার মাঠ, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ, পানি সরবরাহ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: কাবির মিয়া বলেন, দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নকশা অনুযায়ী দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৯ ফুট, প্রস্থ ২২ ফুটসহ সাড়ে ৮ ফুট উচ্চতা সম্বলিত একটি ঘরে বারান্দা, ৮ ফুট করে দু’টি কক্ষ, একটি রান্না ঘর, একটি গোসল খানা, একটি টয়লেটের ব্যবস্থা আছে। ঘরগুলো নির্মিত হয়েছে দেড় ফুট মাটির নিচে ১০ ইঞ্চি ইটের ওপর ৫ ইঞ্চি দেয়ালের গাঁথুনি দিয়ে।

ঘর পাওয়া ভূমিহীনরা জানান ঘরের সঙ্গে জমির কাগজপত্রের মালিকানা পেয়ে আমরা এখন ভীষণ খুশি। বিনামূল্যে এসব ঘর পেয়ে আনন্দে আপ্লুত সুবিধাভোগীরা। তাদের অনেকেরই কাছে এরকম একটি ঘরের মালিক হওয়া ছিল স্বপ্নের মতো। অবশেষে তাদের এই স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

পরের ঘরে থাকার বেদনা ভুলে নিজের জায়গায় থাকতে পেরে আনন্দে আত্মহারা পরিবার গুলো প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়েছেন তারা। ###




ভিন্ন খবর এর আরও খবর: