এফআরসি’র ইডি সাঈদের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন | আইন-আদালত-অপরাধ

ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্বাহী পরিচালক সাঈদ আহমেদ এফসিএ এর বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের সদস্য শেখ জাহিদুল ইসলাম এফসিএ।
রোববার বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্র্যাট মো. রশিদুল ইসলামের আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০ ও ৫০১ ধারা মোতাবেক (সিআর ১৩২/২৪) মামলাটি দায়ের করেন বাদিপক্ষের আইনজীবী সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া এফসিএস।
তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তের রিপোর্ট আগামী ২৮ মার্চ আদালতে দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মামলার বাদি শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, এফআরসি’র নির্বাহী পরিচালক সাঈদ আহমেদ অন্যায় ভাবে আমাকে ফার্ম থেকে অপসারণ করেছেন এবং আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়। এছাড়াও সাঈদ আহমেদ আমাকে অপসারণের চিঠি ও অফিস কপি এফআরসি এবং বিভিন্ন অফিসে সার্কুলেট করেন।
তিনি বলেন, এফআরসি আইনে অনাপত্তি বিধান না থাকা সত্বেও সাঈদ আহমেদ কর্তৃক অনাপত্তি প্রদানের মাধ্যমে অত্র অভিযোগকারীর পূর্বতন প্রতিষ্ঠান হতে অপসারণে আসামির অবৈধ প্রভাব বিস্তার এবং অভিযোগকারীর মানহানিকর কর্মকাণ্ডে আসামির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকার প্রমাণ বহন করে।
শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, সাঈদ আহমেদের এরুপ বেআইনী কর্মকাণ্ডে অভিযোগকারীর পরিবারে, সমাজে, আইসিএবিতে এবং কর্মক্ষেত্রে মানহানিসহ বিপুল পরিমাণ ব্যবসায়িক ও আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সাঈদের এমন কর্মকাণ্ডে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। অধিকন্তু অভিযোগকারীর কর্মক্ষেত্র আশঙ্কাজনক ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এ বিষয়ে এফআরসি’র নির্বাহী পরিচালক সাঈদ আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে মানহানিকর মামলা হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানি না। আর যদি হয়েও থাকে বিষয়টি পরে দেখা যাবে।
জানা যায়, এ কারণে ৩৩২টি কোম্পানির অডিট, ভ্যাট, ট্যাক্স সংক্রান্ত কাজ করতে পারছেন না শেখ জাহিদুল ইসলাম এফসিএ । ফলে গত অর্থবছর এবং এ বছর প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ০৮ জানুয়ারি সাঈদ আহমেদকে আইনী নোটিশ ও পাঠান। কোনো সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া না পেয়ে তিনি এই মামলা করতে বাধ্য হন।