অপরিকল্পিত উন্নয়নে জলাবদ্ধ শরণখোলা, ছয় মাস পানিবন্দী দুই শতাধিক পরিবার

 প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন   |   জনদুর্ভোগ

অপরিকল্পিত উন্নয়নে জলাবদ্ধ শরণখোলা, ছয় মাস পানিবন্দী দুই শতাধিক পরিবার


সঞ্জয় কুলু (শরণখোলা, বাগেরহাট)


উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামে বছরের প্রায় ছয় মাস পানিবন্দী অবস্থায় কাটাচ্ছেন দুই শতাধিক পরিবার। বৈশাখ থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত চলে এই জলাবদ্ধতা। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে ঢুকে পড়ে নোংরা পানি, ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবনযাপন।


গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অনেক পরিবারের উঠানে ও ঘরের ভেতরে হাঁটুসমান পানি জমে আছে। কেউ বাঁশ বা কাঠের সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছেন। স্থানীয় গৃহবধূ সেতারা বেগম (৫০) বলেন, “বাজার থেকে কিছু আনলেও ঘরে ঢুকতে সাঁকো পার হতে হয়, রান্নাবান্না করতে হয় নোংরা পানির মধ্যে।চ্


এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালাম হাওলাদার ও জব্বার শিকদারসহ অনেকে জানান, অপরিকল্পিত রাস্তাঘাট নির্মাণ আর বালু ফেলে বাড়িঘর তোলার কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ঘর থেকে বের হওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে, গাছপালা পচে নষ্ট হচ্ছে, আর শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে চর্মরোগ ছড়িয়ে পড়ছে।


শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, “দূষিত পানির সংস্পর্শে আসায় এলাকায় চর্মরোগের প্রকোপ বেড়েছে। পরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুললে এ সমস্যা কমে যাবে।চ্


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ জানান, “নালা কেটে পাইপ বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও জায়গা না দেওয়ার কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।চ্


স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত স্লুইসগেট স্থাপন ও কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে যেন এই দীর্ঘদিনের পানিবন্দী জীবনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

জনদুর্ভোগ এর আরও খবর: