যবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় মানববন্ধন

 প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৪২ অপরাহ্ন   |   শিক্ষা

যবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় মানববন্ধন


শেখ সাদী (যবিপ্রবি প্রতিনিধি):

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউট্রিশন এন্ড ফুড টেকনোলজি (এনএফটি) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধনে তারা অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। এসময় তারা 'আমার ভাই আহত কেনো? প্রশাসন জবাব দে, হলে কেনো টর্চার সেল?  প্রশাসন জবাব দে, নামক বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।


মানববন্ধনে এনএফটি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বন্ধু  ইসমাইলকে আনুমানিক দেড় টায় হলের ৫২৮ নম্বর রুমে ঢেকে  তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে। শুধু তাই নয়, তাকে চাঁদা দেওয়ার জন্য হাত- পা বেধে ছুরি ধরে নির্যাতন করেছে। নির্যাতন পরবর্তী প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত  তাকে উক্ত রুমে আটক রাখে।  ঐ সময় ইসমাইলের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা হাতিয়ে নেয়। ইসমাঈলের হাত থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ায় সে কাউকে জানাতে পারিনি। পরবর্তীতে তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের বিভাগের কয়েকজন সিনিয়র ভাই ও হল প্রভোস্টের তৎপরতায় ইসমাইলকে উদ্ধার করা হয়। ইসমাইল এখন শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। ইসমাইলকে নির্যাতনকারী শোয়েব ও সালমান সহ জড়িতদের বহিষ্কার করে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি ।


আরেক শিক্ষার্থী জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শোয়েব ও সালমান বিভিন্ন সময় আমাদের ক্লাস রুমে এসে হুমকি-ধমকি দেয়। আজ দুপুরের দিকে ইসমাইল থেকে টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্যে রুমে ডেকে তাকে নির্যাতন করা হয়। শোয়েব ও সালমানের কর্মকাণ্ডে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা উদ্বীগ্ন। রোজা রাখা অবস্থায় ইসমাইলকে ৪-৫ ঘন্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে। এর চেয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর কি হতে পারে!  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার ক্ষেত্রে এদের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। এরা-সহ যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্টের সাথে জড়িত তাদেরকে এবং ইসমাইলকে নির্যাতনকারী শোয়েব ও সালমানকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে।


এদিকে সন্ধ্যায় যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে পাল্টা মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও  (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।


এ সময় তৎক্ষনাৎ প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে যবিপ্রবির সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে বলেন, আমাদের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে তা সম্পূর্ণ সাজানো। একজন শিক্ষার্থীকে রুমে আটকে রেখে এতো সময় যদি নির্যাতন করত তাহলে হলের পাশের রুমের শিক্ষার্থীরা অবশ্যই জানতে পারত। এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট কথা এবং আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।


তারা আরো বলেন, যবিপ্রবির ছাত্র ও ছাত্রী হলের দুইজন প্রভোস্ট-ই পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের হওয়ার আমরা অনেক ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি। এর আগে আমাদের শেখ হাসিনা হলেও এ ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছিলো।   আমরা চাই যবিপ্রবি প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।

শিক্ষা এর আরও খবর: