বঙ্গমাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস উদযাপিত

 প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩০ অপরাহ্ন   |   শিক্ষা

বঙ্গমাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস উদযাপিত

মোঃ সাদেকুল ইসলাম সাকিব (বশেফমুবিপ্রবি): 


ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে।  

সকালে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান।

পরে তাঁর নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।  শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে।

সকাল ১০.০০টায় প্রশাসনিক ভবনের নীচতলায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব অনুধাবনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকেই অনুপ্রাণিত করেছে তা নয়, বরং এই ভাষণ যুগে যুগে বিশ্বের সকল অবহেলিত ও বঞ্চিত জাতি-গোষ্ঠীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকবে।

'এক সময় বাংলাদেশে এই ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এই ভাষণই একটি জাতিকে মুক্তির মন্ত্র দিয়েছিলো। যা আজ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত ও অনুপ্রেরণার।'

তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু ১৮ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ঐতিহাসিক এই ভাষণটি এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে জনতার সামনে প্রদান করেন। এটি ছিল একটি অলিখিত ভাষণ। এই ভাষণ দেয়ার পেছনে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অনুপ্রেরণা ছিল। সেই মহীয়সী নারীর নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আমরা যুক্ত রয়েছি- এটা বেশ সম্মান ও গৌরবের।'

 উপাচার্য বলেন, '১৮ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ঐতিহাসিক এই ভাষণটি এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে জনতার সামনে প্রদান করেন। এটি ছিল একটি অলিখিত ভাষণ। এই ভাষণ দেয়ার পেছনে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অনুপ্রেরণা ছিল। সেই মহীয়সী নারীর নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আমরা যুক্ত রয়েছি- এটা বেশ সম্মান ও গৌরবের।'

ঐতিহাসিক এই ভাষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনে অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিৎ বলেও মনে করেন দেশখ্যাত এই গবেষক।

সভায় '৭ই মার্চের ভাষণ — ১৮ মিনিটের এক ঐতিহাসিক মহাকাব্য' শীর্ষক প্রবন্ধ উত্থাপন করেন সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক জনাব তাইয়্যেবা তাবাসসুম। আর মুখ্য আলোচক হিসেবে সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রুস্তম আলী ঠিকাদার অংশ নেন। তিনি একাত্তরের রণাঙ্গনের দিনগুলোর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে সভায় ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুল মাননান ও রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী রেজিস্ট্রার জনাব মো. সাব্বির হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক জনাব এস.এম. ইউসুফ আলী, কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মির্জা মো. আব্দুল হালিম, কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জনাব মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

শিক্ষা এর আরও খবর: