মহেশখালীতে সমাজ উন্নয়নে অবদানে জয়িতা সম্মাননা ক্রেস্ট পেলেন হ্যাপী

 প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন   |   সফলতার গল্প

মহেশখালীতে সমাজ উন্নয়নে অবদানে জয়িতা সম্মাননা ক্রেস্ট পেলেন হ্যাপী


নুরুল করিম (মহেশখালী) :

সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানামুখী অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ মহেশখালীর বরেণ্য সাংবাদিক আলহাজ্ব মরহুম মাওলানা শফিকুল্লাহ খাঁনের একমাত্র কন্যা, কুতুবজোম জামেউস

সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ (গভর্নিং বডির) সদস্য, মহেশখালীর প্রথম পেশাদার নারী সাংবাদিক ও মহেশখালী প্রেসক্লাবের সদস্য বদরুন্নেসা সুখি (হ্যাপী করিম)কে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে "জয়িতা-২০২৩ পুরস্কার সনদ প্রদান ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীকি মারমা।


এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন.. উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিনুয়ারা ছৈয়দ, উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ছালেহ আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ ফিরোজ খান, মহেশখালী থানার সাব-ইন্সপেক্টর নিঃ মুজিবুর রহমান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু অধিদপ্তর মহেশখালী উপজেলা শাখার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি'সহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সার্বিক নির্দেশনায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫ নভেম্বর হতে ১০ ডিসেম্বর ২০২৩) এবং বেগম রোকেয়া দিবস (৯ ডিসেম্বর ২০২৩) পালন উপলক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী পরিচালিত " জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ" শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার, মহেশখালী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহেশখালীর এই নারী সাংবাদিককে "জয়িতা পুরস্কার-২০২৩ এ ভূষিত করা হয়।


ব্যক্তিগত জীবনে সাংবাদিক বদরুন্নেসা সুখি (হ্যাপী করিম) ২ মেয়ে ও ১ ছেলের জননী। তার স্বামী এইচ এম নুরুল করিম ও একজন সাংবাদিক এবং মহেশখালী প্রেসক্লাবের সদস্য।

জয়িতা পুরস্কারপ্রাপ্ত হ্যাপী করিম জাতীয় দৈনিক আজকের সংবাদ ও কক্সবাজারের দৈনিক রুপালী সৈকতের মহেশখালী প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়াও, মহেশখালীর অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুতুবজোম জামেউস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ (গভর্নিং বডি) এবং মহেশখালী প্রেসক্লাবের একজন সদস্য। এছাড়াও তিনি মহেশখালীর নারী ও শিশুর সামাজিক কল্যানমূলক সংগঠন " মহেশখালী নারী ও শিশু উন্নয়ন সংঘ" নামক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। তার পিতা মরহুম সাংবাদিক শফিকুল্লাহ খাঁন ছিলেন মহেশখালীর সাংবাদিকতা পেশার পথিকৃৎ এবং মহেশখালী প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। তার মাতা মোরশিদা খানম একজন গৃহিণী। ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ নলবিলা গ্রামের মরহুম শফিকুল্লাহ খাঁন ও মোরশিদা খানমের ৬ সন্তানের মধ্যে সাংবাদিক বদরুন্নেসা সুখি (হ্যাপী করিম) সবার বড় এবং একমাত্র কন্যা সন্তান। বড় মহেশখালীর মারকাজুল উলুম দারুচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসা, ছোট মহেশখালীর মহিউচ্ছুন্না মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর ছোট মহেশখালীর আহমদিয়া তৈয়্যাবিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করেন। এরপর টেকনাফের রঙ্গিখালী ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা সমাপ্তির পর কুতুবজোম ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়া গ্রামের মরহুম করিম দাদের কনিষ্ঠ সন্তান এইচ এম নুরুল করিমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ সাংবাদিক বদরুন্নেসা সুখি (হ্যাপী করিম)।


এদিকে সম্মাননাপ্রাপ্ত অন্যান্য জয়িতা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী শ্রেষ্ঠ জয়িতা হোয়ানক বড়চড়া এলাকার বুলু আখতার, সফল জননী নারী হিসেবে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন কালারমারছড়া মোঃ শাহঘোনা'র মোছাম্মৎ হাসিনা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করে এই ক্যাটাগরিতে জয়িতা হয়েছেন কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা জাহেদা বেগম।


সফলতার গল্প এর আরও খবর: