বুধবার শুরু হচ্ছে দু'দিন ব্যাপী বিয়ার (BEAR) সম্মেলন এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন | প্রেসরিলিজ

বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর সবচেয়ে বড় সামিট বিয়ার(BEAR) সম্মেলন এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫ আয়োজন করছে। আগামী ১৬ ও ১৭ জুলাই ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি কমপ্লেক্সে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এ আয়োজন হতে যাচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এজ(EDGE) প্রকল্প এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল(বিসিসি) যৌথভাবে এর আয়োজন করছে।
আজ এ বিষয়ে আইসিটি ডিভিশনের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
সচিব বলেন, সরকার-সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া এবং প্রবাসী মেধাবীদের সমন্বয়ে এমন আয়োজন বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম। সব ধরনের পলিসিগত সহায়তা প্রদানে আইসিটি ডিভিশন তথা বর্তমান সরকার প্রস্তুত। ইতোমধ্যে আমরা ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর পলিসি’র খসড়া প্রস্তুত করেছি এবং শীঘ্রই চূড়ান্ত করে সবার সামনে তুলে ধরা হবে।
দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলকে ( বিএনপি, জামায়াত ইসলাম এবং এনসিপি) এই আয়োজনে যুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে তাঁরা আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন।
সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সাথে যুক্তদের আমরা নানাভাবে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নিয়েছি। সেমিকন্ডাক্টরভিত্তিক পণ্য ও সেবা রপ্তানিকারকদের জন্য ৫-১০% ক্যাশ ইনসেনটিভ দেয়ার প্রস্তাব রেখেছি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকদের কাছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মাত্র ২০ হাজার দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর শিল্প থেকে ১৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে পারবে বলে মনে করেন শীষ হায়দার চৌধুরী।
বিয়ার(BEAR) সামিট এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫ এর আহ্বায়ক পাড্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোঃ মোস্তফা হোসাইন বলেন,
জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে এই ধরনের আয়োজন আমাদের সত্যি নতুন করে স্বপ্ন দেখায়। ‘Bangladesh as a Nation of Innovation’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত BEAR Summit এবং National Semiconductor Symposium 2025 আমাদের জন্য একটা দারুণ সুযোগ নিয়ে এসেছে। সারাবিশ্বের সামনে আমরা আমাদের মেধা, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী শক্তি প্রদর্শনের সুযোগ পাবো। এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো বায়োটেকনোলজি, ইলেকট্রনিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং রোবটিক্স (BEAR)–এর গুরুত্বপূর্ণ খাতের সম্ভাবনাকে নতুন করে খুঁজে দেখা; তরুণ মেধার সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; শিল্প ও একাডেমিয়ার মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং এর মাধ্যমে দেশকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নেয়া।
এবার বিয়ার (BEAR) সম্মেলনের পাশাপাশি একটি সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হবে, যা বাংলাদেশের জন্য ট্রিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে প্রবেশের পথ সুগম করবে এবং দেশকে Deep Technology-এর একটা গ্লোবাল হাব হিসেবে পরিচিত করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ডঃ. মোঃ মেহেদী হাসা