বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ১০৯তম জন্মদিন আজ

 প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন   |   সারাদেশ

বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ১০৯তম জন্মদিন আজ


শামসুল কাদির মিছবাহ (সুনামগঞ্জ): জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার দুদিনব্যাপী দিরাই উপজেলার কালনী নদীর তীরে উজানধল গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে ‘শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব ২০২৪’। বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম ১৯১৬ সালের আজকের এই দিনে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

চরম দারিদ্র্য ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বেড়ে ওঠা আব্দুল করিমের সংগীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। একতারা ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। খুব সাধারণভাবে জীবন যাপন করে গেছেন। তাঁর বাবা ইব্রাহিম আলী ও মা নাইওরজান বিবি।

"কোন মেস্তরি নাও বানাইল কেমন দেখা যায়, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু ছেড়ে যাইবা যদি’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের রচয়িতা তিনি। শাহ আব্দুল করিম বাংলার লোকজ গানের ধারাকে আত্মস্থ করেছেন সহজভাবে। গেয়েছেন মাটি ও মানুষের গান। ভাটি অঞ্চলের মানুষের সুখ-দুঃখ, প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি তাঁর গানে উঠে এসেছে মানবতার জয়গান। তাছাড়া সমাজের সব অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও রচিত করেছেন অসংখ্য গান।

বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম অত্যন্ত সহজ-সরল জীবনযাপন করতেন। গানে-গানে অর্ধ শতাব্দীরও বেশি লড়াই করেছেন সমাজের কুসংস্কার ও ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে। এজন্য অনেক লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার  শিকার হতে হয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, কাগমারী সম্মেলন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে মানুষকে উৎসাহ ও উদ্দীপনা যোগিয়েছে শাহ আবদুল করিমের গান।

২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৯৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন জীবন্ত কিংবদন্তি এই গুণী মানুষ। তাঁর মৃত্যুর কয়েক বছর আগে বেশ কয়েকজন শিল্পী বাউল শাহ আব্দুল করিমের গানগুলো নতুন করে গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এতে তিনি বাংলাদেশসহ বাংলা ভাষাভাষী পৃথিবীর মানুষের কাছে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। অর্জন করেন একুশে পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা।

সারাদেশ এর আরও খবর: