মব ভায়োলেন্স পরিহার করুণ

 প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১১:২০ পূর্বাহ্ন   |   মতামত

মব ভায়োলেন্স পরিহার করুণ

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী:

নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মব ভায়োলেন্সের কোন প্রয়োজন নেই। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারকে আরো কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে। জীবনের রিক্স নিয়ে পুলিশ মব ভায়োলেন্স বা চাঁদাবাজীদের আটক  করবে আর  তথাকথিত ছাত্র নেতা বা সরকারি দলের লোকজন যেয়ে তাদেরকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনবে এতে করে মব ভায়োলেন্সকারীরা আরো ভয়ংকর রুপে রুপান্তরিত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সাবেক সিইসি ’র গলায় জুতার মালা এবং গালে জুতা পেটুনি কি ভাল লক্ষণ? অপরাধীদের নিরাপওা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। এ সংস্কৃতি কাহারো কাম্য নয়।  এমনিতে সাড়া দেশে পুলিশ এখনও নিস্ক্রিয় থাকায় মাঠে সেনাবাহিনী থাকলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বাড়ীঘর ভাংচুর, চাঁদাবাজী, ছিনতাই, লুট-পাট, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক করে পরিবারের নিকট হতে টাকা আদায় করা মত অনেক ঘটনা ঘটেই চলছে যা নিয়ন্ত্রণ করার মত কোন বাহিনীকে মানছে না তথাকথিত ছাত্র নামধারী এক শ্রেনীর তরুণ নব্য সন্ত্রাসী চাঁদাবাজির দল। এদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার বা একশন কে নেবে? সচিবালয়সহ দেশের বিভিন্ন সরকারি অফিসগুলো, জেলা প্রশাসন, কোর্ট-কাঁচারী সব জায়গাতে মব জাষ্টিসের দৌরাত্বে জনগন অতিষ্ট হয়ে পরেছে। মব ভায়োলেন্সকারীরা সাধারণত  ক্ষুদ্ধ, হিং¯্র অথবা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন এমন একটি দলবল তারা প্রায়ই দেশের বিভিন্ন স্থানে যখন তখন গুজব ছড়িয়ে দলবদ্ধভাবে গণপিটুনি থেকে শুরু করে মানুষের জানমালের ওপর আক্রমণ চালায়।


মব জাষ্টিস বা গণপিটুনি হচ্ছে এমন এক সামাজিক ব্যাধি যেখানে বিচার ব্যবস্থা বা আইন নিজেরাই নিজেদের হাতে তুলে নেয়। ৫ আগষ্টের পর বাংলাদেশে এই সামাজিক ব্যাধি প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। এক শ্রেনীর লোকজন মানুষের ঘর বাড়ী ভাংচুর, লুটপাট ও ধ্বংশ নিলায় মেতে উঠেছে। এদের দৌরাত্বের পিছনে চাঁদাবাজী বড় ধরণের কাজ করছে। এখানে গুজব খুব দ্রুত ছড়িয়ে কাজ করা হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে নিরীহ ব্যক্তিরাও মব জাষ্টিসের শিকার হয়ে থাকে। ইহা সাধারণত: আইন-শৃঙ্খলার ওপর এক বিরাট আঘাত হানে। যা রোধ করা সহজ হয়ে উঠে না। সাধারণত: মব জাষ্টিস সমাজে ভয় এবং অনিরাপত্তার পরিবেশ তৈরী করে। ইহা সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাস ও ভ্রাতৃত্ববোধ ধ্বংশ করে দেয় এবং সামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে থাকে। সে জন্য গুজবে কান না দেওয়াই হচ্ছে মব জাষ্টিসের প্রধান কাজ। স্থানীয়ভাবে জনগনকে সচেতন থাকা এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্তিশালী এবং কঠোর দমনে আত্মনিয়োগ করাই শ্রেয়। কিছুদিন আগে সেনাবাহিনী বলেছিল দেশের বিরামজমান পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে নিরাপত্তা, ক্ষতিসাধন, ভায়োলেন্স ও জনদূর্ভোগ সৃষ্ঠি করতে পারে এমন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিবে। কৈই এ ঘোষণার পরও দেশের বিভিন্ন স্থানে এক শ্রেনীর তথাকথিত তরুণদের মব ভায়োলেন্স তৈরীর মাধ্যমে বাড়ীঘর ভাংচুর, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও অগ্নি সংযোগ করতে দেখেছি। ঘটনা ঘটার অনেক পরে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও এলাকা দেখতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আগমন কোনভাবেই কাম্য নয়।

আশাকরি, মব জাষ্টিস বন্ধ করতে চি‎ি‎হ্নত সন্ত্রাসী দেশের বিভিন্নস্থানে খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষন, রাতে গণ পরিবহনে ডাকাতি, লুটতরাজ, বাড়ীঘর, ও মাজার ভাংচুর, নারীদের হেনেস্তা ও নির্যাতন, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজী ইত্যাদি ও জনজীবনে আতংক সৃষ্টিকারী  এবং মব- এর নামে শুধু পুলিশ কেন সাধারণ মানুষ, শিক্ষকদের ওপর  গণপিটুনীকারীদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং এক শ্রেনীর উচ্ছৃঙ্খল গুজব রটনাকারী এবং মাদকসেবক, চাঁদাবাজী, ছিনতাইকারীদের ধরার জন্য অনুরোধ করছি।


মতামত এর আরও খবর: