হঠাৎ যেন মানুষের পাশবিক প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে!
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২০, ০৩:২২ অপরাহ্ন | সম্পাদকীয়

এহছান খান পাঠান:
বাংলাদেশে সব ধরনের আইন আছে। রাজনৈতিক প্রভাব, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ইত্যাদির কারণে এসব আইনের প্রয়োগ সম্ভব হয় না এবং পুলিশি ঝামেলায় কেউ পড়তে চায় না। তাছাড়া যাদের শাস্তি পাওয়া উচিত, যেভাবে শাস্তি পাওয়া উচিত তারা সেভাবে শাস্তির মুখোমুখি হয়না।
একের পর এক ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও কোনোভাবেই যেন এর লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। কর্মক্ষেত্রে, চলন্ত বাসে, এমনকি নিজের ঘরে পর্যন্ত নেই নিরাপত্তা।
ধর্ষণের কারণ বহুমাত্রিক । আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, নারীর জন্য তৈরী হওয়া নীতিমালা, গতানুগতিক চিন্তাধারা, দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা বিচারহীনতা ও বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা, পর্ণোগ্রাফির ছড়াছড়ি ইত্যাদি ধর্ষণের কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির যে জোয়ার উঠেছে সেটার কোন নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি না থাকায় কিশোর ও তরুণরা নৈতিক শিক্ষা থেকে ক্রমশ ছিটকে পড়ছে। মাদকাসক্ত ও ধর্ষকের বিচারের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার আরেকটি কারণ।
দেয়ালে নগ্ন পোস্টার, যৌন উত্তেজক অবৈধ বইয়ের রমরমা ব্যবসা, অশ্লীল ছায়াছবি প্রদর্শন, ব্লু-ফিল্ম, নারীকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার, ইন্টারনেটে অশ্লীল সাইটগুলো উম্মুক্ত করে দেওয়া, ১৮ প্লাস চ্যানেলে নীল ছবি প্রদর্শন, যৌন উত্তেজক মাদক ইয়াবার বহুল প্রসার ইত্যাদি কারণে দিন দিন ধর্ষণ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ধর্ষণ মহামারী রূপ নেবে।
এহছান খান পাঠান, সম্পাদক, কিংসনিউজ২৪.কম