রাস্তা বন্ধ করে আর সমাবেশ নয়: ওবায়দুল কাদের

 প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৫৫ অপরাহ্ন   |   রাজনীতি

রাস্তা বন্ধ করে আর সমাবেশ নয়: ওবায়দুল কাদের

নিজেরা তো নয়, কাউকেই আর রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের যৌথ সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।



এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সমাবেশস্থল পরিবর্তনের কথাও জানান তিনি। সমাবেশটি মহানগর নাট্যমঞ্চে করা হবে।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।


সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আগুন সন্ত্রাস, পুলিশের ওপর আক্রমণ শুরু গেছে। আমরা যেটা আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই হচ্ছে।


এ সময় রাস্তা বন্ধ করে কাউকে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রাস্তা বন্ধ করে মানুষকে কষ্ট দিয়ে সমাবেশ করা এটা- আর হতে দেওয়া হবে না। আমরাও করবো না।


তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সমাবেশ দিয়েছে। যদিও শুক্রবার, তারপরও আমরা বলে দিয়েছি মহানগর নাট্যমঞ্চে করতে, রাস্তায় না। তাহলে বিএনপি কেন অনড় অবস্থানে আছে? তারা বিশৃঙ্খলা করবে, সরকার পতন ঘটাবে- ওই সব দুরভিসন্ধি আমরা জেনে গেছি।


এ সময় বিএনপি আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আক্রমণ করবো না, আক্রমণকারী হবো না। কিন্তু উস্কানি দিলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। আজ থেকে সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারায় থাকবে। অশান্তি, বিশৃঙ্খলা করতে উস্কানি দিচ্ছে বিএনপি। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা সংঘাতের উস্কানি দিচ্ছে।


আওয়ামী লীগ সম্পাদক আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিবাদ, তাদের মাঠে নামিয়ে লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি বুধবার তারা কার্যকর করেছে। রাস্তা বন্ধ করে জনগণকে কষ্ট দিয়ে সমাবেশ করা, এটা আর হতে দেওয়া হবে না। আমরাও করবো না।


গণমাধ্যম নিয়ে অভিযোগ করে তিনি বলেন, অনেকেই নিরপেক্ষতা-বস্তু নিষ্ঠুরতার কথা বলেন। পুলিশ মার খেয়ে রাস্তায় পড়ে আছে, কেউ ছবি দিলেন না। বিআরটিসি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পত্রিকায় ছবি দিলেন না। এ দুর্ব্যবহার কেন করা হচ্ছে? সরকারি গাড়ি পুড়িয়ে ফেললো, সেই ছবি কেউ দিলেন না। কেন এমনটা করা হচ্ছে? মিডিয়ার একটা অংশ কেন পক্ষ নিচ্ছে? পক্ষপাতিত্ব করছে। এটা আমার অভিযোগ। আমরা সত্যকে তুলে ধরার কথা বলছি। বিদেশিরা উদ্বেগ প্রকাশ করছে।


এ ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, এটা (সাংবাদিকতা) এক পেশে হওয়া উচিৎ নয়। আমরা ৬ জানুয়ারির নির্বাচন দেখেছি, এক পক্ষ বলেছে হয়েছে নির্বাচনে চুরি করা হয়েছে। এটা কি? আমরা আপনাদের (সাংবাদিক) বন্ধু। আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করবেন না। যশোর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের সমাবেশ দেখুন, জনগণ কি চায় বুঝতে পারবেন।


সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি, মণ্ডলীর সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।



রাজনীতি এর আরও খবর: