মালদ্বীপে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন দেশের সূর্যসন্তানদের
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:৫০ অপরাহ্ন | আন্তর্জাতিক
একাত্তরে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দোসরদের সহায়তায় বাংলার যে মেধাবী সন্তানদের হত্যা করেছিল, সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে প্রতি বছরের মতো এবারও ১৪, ডিসেম্বর বিভিন্ন কর্মসূচি মধ্যে দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয় মালদ্বীপের বাংলাদেশ দূতাবাসে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়াল এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম:) মো. সোহেল পারভেজ।
এ উপলক্ষে দূতাবাসের মিলনায়তনে বেলা সাড়ে ১০ টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এরপর দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুস সালাম মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিস শিরিন ফারজানা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণীসমূহ পাঠ করেন। সভার দ্বিতীয়ার্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্য, সব শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ঘটনাবহুল কর্ম কান্ডের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এর তাৎপর্য উল্লেখ করে মূল্যবান বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনার, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশকে মেধা শূন্য করতে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এবং তাদের এ দেশি দোসররা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেই বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এসব রায় বাস্তবায়নের মাধ্যমেই শহিদদের আত্মার প্রতি প্রকৃত সমবেদনা জানানো সম্ভব হবে। হাইকমিশনার, সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিজ নিজ অবস্থানে মাতৃভূমির উন্নয়নে তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে মিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।

