পঞ্চগড়ে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

 প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৯ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ

পঞ্চগড়ে জমে উঠেছে  ঈদের কেনাকাটা

মোঃ লিহাজ উদ্দিন (পঞ্চগড় ) :

মুসলমানের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে ঈদের আনন্দকে প্রাণোবন্ত করতে নতুন পোশাকের বিকল্প নেই। তাই তো প্রত্যেক পরিবারের গন্তব্য কাপড়ের বাজার ।নিজের সাধ্যমত পোশাক ক্রয় করছেন। উত্তরের সীমান্তবর্তী চা'য়ের সবুজ ছায়ায় পাথর সমৃদ্ধ জেলা পঞ্চগড়। এই জেলায় সিংহভাগ মানুষ কৃষি,চা ও পাথর শ্রমিক। আর কয়েকদিন পর ঈদ। ঈদের আনন্দ পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিলিয়ে দিতে এই সব মানুষ ছুটছে ঈদ বাজারে। তাদের পদচারণায় মুখরিত ঈদ বাজার। পঞ্চগড়ের বিভিন্ন বিপণি-বিতানে বেচা-কেনা জমে উঠেছে। পরিবার-পরিজনদের জন্য নতুন পোশাক কিনতে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। বিপনী বিতান গুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকান মালিক ও কর্মচারীরা।

জেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বিভিন্ন বিপণি-বিতানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। রমজানের প্রথম দিকে তেমন বেচা-বিক্রি ভালো না হলেও এখন বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ক্রেতারা পছন্দমতো পোশাক কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন। তবে আভিজাত্য বিপণী গুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত মোটা ও কমদামী কাপড়ের দোকান গুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভীর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পোশাকেই যেন বেশি জমজমাট এবারের ঈদ বাজার। ছেলেদের পাঞ্জাবির দোকানগুলোতেও ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ, আগের চেয়ে বেড়েছে সব কাপড়ের দাম।


ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এই ঈদে দোকানিরা ইন্ডিয়ান সারারা জর্জেট, আলেয়া কার্ট,,আফগানী, ডায়মন্ড, বিনয়, কাঁচা-বাদাম, লাচ্ছা, বিবেগ, লংস্কার্ট, পাখি-লেহেঙ্গা, ঐশ্বরিয়ার ময়ূরী-ড্রেস আর পাকিস্তানি বাড়িস, খুবসুরত, পাকিস্তানি-কটি, শাহজাদি  ইত্যাদি ডিজাইনের পোশাক এনেছেন। এ সব ডিজাইনের কাপড় রকম ভেদে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে টেইলার্সের দোকানেও প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পনের রোজা থেকে কাপড় বানানোর অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন টেইলার্স মালিকরা। পঞ্চগড় শহরের শাপলা টেইলার্স এর স্বত্বাধিকারী কায়েদার রহমান বলেন, কাপড় তৈরির খুব চাপ।তাই পনের রোজার পর নতুন করে আর কোন অর্ডার নিই না।

পঞ্চগড় সেন্ট্রাল প্লাজায় ঈদ বাজার করতে আসা রেশমা আক্তার জানান, গত দুই বছর ঈদে মার্কেটে আসতে পারিনি। ঈদে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করার মজাই আলাদা। পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করবো।

পঞ্চগড় শহরের স্বপ্নরঙ ফ্যাশনের বিক্রেতা রুবেল ইসলাম জানান, প্রতি বছর ঈদে ভারতীয় সিরিয়ালের নামে পোশাক চান ক্রেতারা। এবার আমাদের এখানে পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। বিক্রিও হচ্ছে  প্রচুর। ক্রেতাদের চাহিদা বিবেচনায় কাপড় কালেকশন করা আছে।  ছোট মেয়েদের  দুটি পোশাক এসেছে সরারা ও গারারা।

সেন্ট্রাল প্লাজার ইমা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী সুর মোহাম্মদ জানান, দেশ রোজার পর থেকেই ভালো কেনাবেচা হচ্ছে। । আশা করছি,  রোজার শেষ দিকে বেচা-বিক্রি অনেক ভালো হবে।

জুতা ব্যবসায়ী বকুল ইসলাম বলেন, এবার এখন পর্যন্ত ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। আশাকরি ঈদের শেষ মুহুর্তে আরো বেশি বিক্রি হবে।

পঞ্চগড় কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, কৃষকের ফসল,যেমন-গম,মরিচ ভুট্টা  এখনও ঘরে আসেনি। তাই গ্রামের লোকজনের সেরকম আনাগোনা নাই। যদিও বাজারে দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি। তারপরও মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া শ্রমিকরা আয় রোজগার ভালো করছে এবং ঈদের জন্য কেনাকাটাও ভালো করছে। আস্তে আস্তে ঈদ বাজার জমে উঠছে।


সারাদেশ এর আরও খবর: