পঞ্চগড়ে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন ঘরে তোলা শুরু
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১১:১৪ অপরাহ্ন | সারাদেশ

মোঃ লিহাজ উদ্দিন (পঞ্চগড় ) :
হেমন্তকাল। পাড়ায় পাড়ায় হালকা শীতের আমেজ।নবান্নের নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে কৃষকের ঘরে।
চা পাথর সমৃদ্ধ উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়। এ জেলায় এক সময় ধানই ছিল প্রধান ফসল। কিন্তু কালের বিবর্তনে তা ক্রমান্বয়ে কিছুটা কমে গেলেও কৃষক তাদের জীবন জীবিকার প্রধান ফসল ধানকেই প্রাধান্য দেয়। বিশেষ করে আমন ধানে তাদের স্বপ্ন বেশি লালন করে।
হেমন্তের শুরুতেই কৃষকের মনে স্বস্তি ফিরেছে।তাদের চিন্তা চেতনায় এখন শুধুই আমন ধান ক্ষেত বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে সবুজ ধানক্ষেত। তারই মাঝে সোনালী আভা উঁকি দিচ্ছে । এরইমধ্যে পাকা ধান কাটা শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে পুরোদমে আমন কাটা শুরু হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তাদের কাংখিত স্বপ্ন হয়তো পুরণ হবে। কিছু দিন পরে শুরু হবে ঘরে ঘরে পিঠা তৈরির ধুম। কনকনে শীতে পিঠা তৈরি ও প্রতিবেশীদের খাওয়ানোর অন্যরকম আনন্দ। আর এসব কিছু কেবল আমন ধানকে ঘিরেই সম্ভব। এসময় শুরু হবে গ্রামে গ্রামে নবান্ন উৎসব।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার বোদা পাড়া গ্রামের কৃষক হাসান বলেন, আমি ৫বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি। রোগ পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন নাই। আশা করছি ধানের ভালো ফলন পাব।
জেলার আটোয়ারী উপজেলার বর্ষালুপাড়া গ্রামের আব্দুল করিম বলেন,আমার ৩০বিঘা জমির আমন ধানের ফলন দেখে আমি খুশি।প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে আমি বিঘা প্রতি ১৫-২০ মন ধান ঘরে তুলতে পারব।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ গুলজার রহমান আনছারী বলেন,আমরা সরাসরি কৃষকের ক্ষেত পর্যবেক্ষণ করছি। কৃষকদের সমস্যা চিহ্নিত করে সঠিক পরামর্শ প্রদাণ করছি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমন ধানে তেমন কোন বড় সমস্যা, রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ নাই। আশা করছি কৃষক তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফসল ঘরে তুলতে পারবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পঞ্চগড় এর তথ্য মতে এবার জেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১লক্ষ২০ হাজার হেক্টর।২০ হাজার হেক্টর বেশি আবাদে অর্জিত হয়েছে ১৩০হেক্টর জমি। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০হাজার ৫৪১মেট্রিক টন ধান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পঞ্চগড় এর উপপরিচালক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, বলেন, আমাদের জেলার কৃষকদের আন্তরিকতা,প্রচেষ্টা এবং আমাদের সঠিক সময়ে সঠিক তদারকিতে আমন উৎপাদন ভালো হয়েছে। আশা করছি কৃষকেরা তাদের কাংখিত ফসল ঘরে তুলতে পারবে।