জাবি শিক্ষক জনির বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের তদন্তে নতুন কমিটি

 প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৮ অপরাহ্ন   |   শিক্ষা

জাবি শিক্ষক জনির বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের তদন্তে নতুন কমিটি


মাহমুদুল হাসান (জাবি প্রতিনিধি) :


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টরের পদ ব্যবহার পূর্বক  রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ছাত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন, সেই নারী  শিক্ষার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে প্রভাব বিস্তার, গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করা এবং ভুক্তভোগী নারী  শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ আনিত একাধিক অভিযোগের অধিকতর তদন্তের প্রেক্ষিতে নতুন কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


গতকাল সোমবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবারে  অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়। পূর্ববর্তী কমিটির প্রতিবেদনের পর অধিকতর তদন্তের জন্য নতুন এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।


অধিকতর তদন্তের নিমিত্তে গঠিত নিতুন কমিটিতে কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক কৌশিক সাহা এবং সদস্য সচিব হিসেবে ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) শাহনাজ হোসেন। এ ছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইসমত আরা এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফসানা হক।


নারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষক বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক যৌন সম্পর্ক স্থাপন, শিক্ষক নিয়োগে প্রভাব বিস্তার ও জোর করে গর্ভপাতের অভিযোগ ওঠে। মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে   আনিত এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতবছরের ৮ ডিসেম্বর তিনি  বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।


তার বিরুদ্ধে আনিত নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তখন উপাচার্য একটি প্রাথমিক কমিটি গঠন করলে সেই কমিটির কার্যক্রমকে পক্ষপাতমূলক দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো।পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি পালন করেছে।



বেশকিছু সংবাদপত্রে শিক্ষক জনির নামে প্রমানসহ এসব কুকীর্তির  বিষয় প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে  বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)  গত ১ মার্চ এক চিঠিতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেয়। মূলত  ইউজিসির চিঠি পাওয়ার পরেই  বিশ্ববিদ্যালয় এই তদন্ত কমিটি গঠন করে।


শিক্ষা এর আরও খবর: