ইবিতে অর্ধশতাধিক আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৩, ০৯:০৮ অপরাহ্ন | শিক্ষা
তারিক সাইমুম (ইবি প্রতিনিধি):
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে গণবিজ্ঞপ্তি থেকে ভর্তির পর ফাঁকা ৫০ টি আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করছে ইবি।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ভর্তি বাতিল চলতে থাকলে বাড়বে ফাঁকা আসনের সংখ্যা। আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে পারে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্টার মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে ৩৪ টি আসন ফাঁকা ছিল। কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করায় এখন ৫০টি আসন ফাঁকা হয়েছে। ফোকলোর ও 'ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি' বিভাগের সর্বোচ্চ আসন ফাঁকা রয়েছে। এ শূণ্য আসন পূরণে আবারও ভর্তিচ্ছু আহবান করা হবে কিনা এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আসন খালি রেখেই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হতে পারে।
এর আগে গণ বিজ্ঞপ্তির দিয়ে‘এ’ ইউনিটে ১৫৫৭ থেকে ৯১৭৫ পর্যন্ত, ‘বি’ ইউনিটে ২৬৩ থেকে ৩৫০০ পর্যন্ত এবং ‘সি’ইউনিটে ৫৮৬ থেকে ২০০০ সিরিয়াল পর্যন্ত যারা বিভাগপ্রাপ্ত হয়নি সেসব ভর্তিচ্ছুদের আবেদন করতে বলা হয়। গণ বিজ্ঞপ্তির শেষেও এখনও এ আসনগুলো ফাঁকা রয়েছে।
এ বছর তিন ইউনিটে মোট আবেদন করেন ৪২ হাজার ৪২৯ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ২৪ হাজার ৩৪৩ টি, ‘বি’ ইউনিটে ১২ হাজার ৮৭০ এবং ‘সি’ ইউনিটে ৫ হাজার ২১৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, আমরা কখনোই চাইনা আসল ফাঁকা রেখে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়ে যাক কিন্তু গুচ্ছ পদ্ধতিতে সেটাই হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা উদগ্রীব থাকে সেখানে সিট ফাঁকা রেখেই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করছে এবং ভর্তি কার্যক্রম শেষ করছে। এটা প্রত্যাশিত নয়। আমরা ২১শে মার্চের মধ্যে একাডেমিক কাউন্সিল ডেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলেছি।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ। নতুন করে আর ভর্তি নেয়া হবে না। পরবর্তীতে কিভাবে এই সমস্যা দূর করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

